দেশের মানুষ আজ নির্যাতিত নিপিড়িত। বেগম খালেদা জিয়ার ওপর যে অন্যায় অত্যাচার করা হয়েছে, তার যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে তার প্রতিবাদে আমারা সারাদেশে মিটিং মিছিল করছি। এ বছরেই মিমসাংসা হয়ে যাবে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না হয় সৈরতন্ত্র থাকবে বলে বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ।

আওয়ামীলীগ সভানেত্রী কর্তৃক বেগম জিয়াকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি আয়োজনে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বরেন তিনি।

তিনি বলেন, এই সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। শেখ হাসিনা যবরদখলকারী প্রধানমন্ত্রী। রাত্রেবেলা কিছু চোর ডাকাত একজায়গায় করে বলেছে আমি প্রধানমন্ত্রী প্রধান মন্ত্রী হতে হলে ভোট করতে হয়।

আপনার বাবা শেখ মুজিবরও ইলেকশন করে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। যারা দেশে চাকরি করছে তারাও একটা পরীক্ষা দিয়ে তারপর চাকরি করছে। আর আপনি কোন পরীক্ষা না দিয়ে কোন ভোট না করে কিভাবে নিজেকে প্রধান মন্ত্রী বলেন।

দুদু আরো বলেন,কিভাবে বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দিবেন। তিনি তিন বারের প্রধান মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, সাবেক সেনা প্রধানের স্ত্রী। আপনার কথাটা বলতে লজ্জাও লাগেনি ? আমাদেরতো লাগে। একজন মাত্র বাংলাদেশের নোবেল পেয়েছে। নোবেল পাওয়ার কারনেই আমরা রবিন্দ্র নাথকে বিশ্ব কবি বলি। আমাদের দেশেও একজন বিশ্ব অর্থনিতিবিদ রয়েছেন ড. ইফনুস। আর আপনি তাকে বলেন পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেবেন।

তিনি অঅরো বলেন, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়েরে একজন ছাত্রী একজন নারীকে আপনারা দলবেধে মারবেন ? এ জন্যই আমরা দেশ স্বাধীন করেছি ? একজন প্রতিবাদ করলে তাকে দলবেধে পেটাবেন ? এই দিন দিন নয়। আমরাও ক্ষমতায় যাবো। তখন কি করবেন আপনারা। তাই বলে আমি বলছিনা প্রতিহিংসার রাজনিতি আমরা করছি। তবে হ্যা, আপনাদের কঠিন আইনের আওতায় আনা হবে। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো আমরা। আপনারা তা উপভোগ করবেন।

ইলেকশন সম্পর্কে তিনি বলেন,বিএনপি ইলেকশনে বিশ্বাসী দল। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় গিয়েছে প্রতিবার দেশের মানুষের কাছে ভোট নিয়ে মেন্ডড নিয়ে তারপর ক্ষমতায় গিয়েছে। বিএনপির ক্ষমতায় যেতে মইন ইউ আর এরশাদ এর মত লোক লাগেনা। ফাক ফোকর দিয়ে আমরা দিনের ভোট রাতে করিনি। ইলেকশন হবে, তবে হাসিনার অধিনে কোন ইলেকশন হবেনা। তাকে পদত্যাগ করতে হবে পারলামেন্ট ভাংতে হবে প্রশাসন পরিবর্তন করতে হবে। এটা আমরা স্পষ্ট করে বলছি।

বেগম জিয়াকে বাহিরে রাখতে এত ভয় কেনো ? তারেক রহমানকে দেশে ঢুকতে দিতে আপনাদের এত ভয় কেনো আপনাদের। কারন আপনারা জানেন দেশে আপনাদের কি অবস্থা আর তাদের অবস্তান কোথায়।

৩৫ লক্ষ মামলা দিয়েছেন আপনি। আমি চেলেঞ্জ করে বলছি হাসিনার এটার ওপরে এরকটা নোবেল পুরষ্কার পাওয়া উচিৎ। বিরোধি দলকে কিভাবে আর কত ভাবে নির্যাতন করা যায় তার শিক্ষা উনার কাছে পাবেন। শত শত মানুষ তাদের স্বজনদের পায়না।

ইলিয়াস আলী সহ্ কত মানুষকে আপনারা গুম হত্যা করেছেন প্রশাসনকে ব্যবহার করে তার তদন্ত পূর্বক আদালতে আপনাদের দাড়াতে হবে, বিচারের মুখোমুখি আপনাদের হতে হবে। আপনি বলেছিলেন ঘরে ঘরে চাকরি দেবেন। ঘরে ঘরে তো মামলা দিয়েছেন। এগুলোর জবাব দেবেন না আপনি?

দ্রব্যমূল্য নিয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের কথা তো বলেই শেষ করা যাবেনা। বেগম জিয়ার আমলে ৪০ টাকার তেল খেয়েছেন যা এখন ২শ টাকার ওপরে তাও পাওয়া যায়না। ১৬ টাকার চাল বেগম জিয়া খাইয়েছেন। হাসিনা বলেছিলেন ১০ টাকায় খাওয়াবেন। কত খাওয়াচ্ছেন তা দেশের লোক জানেন। কৃসকদের বলেছেলেন ফ্রি সার দেবেন। কি দিচ্ছেন?

আপনারা সংযত হন। ক্ষমতা সব সময় এক জায়গায় থাকেনা। আমরাও ক্ষমতায় ছিলাম। এখন ক্ষমতায় নেই। কালকে তো আবার আসবো ক্ষমতায়। তখন কি হবে? এমন জায়গায় নিজেদের নিয়েন না যেখান থেকে ফিরতে পারবেন না।

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি হারুনর রশিদ সহ, পৌর বিএনপির সভাপতি তারেক আদনান, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, জেলা যুবদলের সভাপতি মহেবুল্লাহ আবু নুর, ছাত্রদল সভাপতি- কায়েস, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সহ জেলার জেলা উপজেলা ইউনিয়ন বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।